সিবিএন ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে আগৈলঝাড়ার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক সালমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট সাজুকে সাময়িক বহিষ্কারের এই নির্দেশ দেওয়া হয়। গণভবনে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এর আগে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় অংশ নিতে যাওয়া নেতারা ইউএনও তারেক সালমানের প্রসঙ্গ তোলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাজু সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতাদের বলেন, ‘তার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিন।’

ইউএনওর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী সাজু বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক।

বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, ‘কিছু লোক আওয়ামী লীগ হয়ে আমাদের দলে ঢুকে, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে। তাই সবাইকে সাবধান হতে হবে। কাউকে দলে নেওয়ার আগে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা উচিত। তার উদ্দেশ্য কী, সেটাও ভালো করে জানা উচিত। কারও বিষয়ে বিস্তারিত না জেনেও তাকে দলে নিয়ে পদ-পদবি পর্যন্ত দিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে, এগুলো যারা করছেন, তা অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। মনে রাখতে হবে, তারা আসেন পদ নিতে। তারা পদ নিয়ে দলের ও সরকারের ক্ষতিই করবেন।’